কোরবানির দোয়া, নিয়ম ও পদ্ধতি জেনে নিন

Rate this post

কোরবানির দোয়া, নিয়ম ও পদ্ধতি জেনে নিনকোরবানির দোয়া, নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে আজকের ফিচার। নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করাই উত্তম। নবীজী (সা.) নিজেই কোরবানি করতেন। তবে অন্যের মাধ্যমে কোরবানি করলেও কোনো সমস্যা নেই। এ ক্ষেত্রে পশু কোরবানির সময় পাশে উপস্থিত থাকা ভালো।

কোরবানির দোয়া, নিয়ম ও পদ্ধতি জেনে নিন

কোরবানির দোয়া আরবি

وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفا وما أنا من المشركين، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ ۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، بسم الله الله أكبر.

কোরবানির দোয়া বাংলা উচ্চারণ

ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন।…বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।

কোরবানির দোয়া অর্থ

নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২১)

কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া

اللهم مِنكَ وَلَكَ এরপর بسم الله الله أكبر পড়বেন।

কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা। এরপর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার পড়বেন।

কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ, (এই কোরবানির পশু) তোমার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত এবং তোমারই জন্য উৎসর্গকৃত। মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

কোরবানি করার পর যে দোয়া পড়বেন

اللهم تقبل منا كما تقبل من حبيقك محمد وخليلك إبراهيم عليه السلام

আরবি উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিন ওয়া খলিলিকা ইবরাহিমা আলাইহিমাস সালাম।’

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, এই কোরবানি আমার পক্ষ থেকে কবুল করুন, যেভাবে আপনি তা কবুল করেছিলেন আপনার প্রিয় বন্ধুদ্বয় মুহাম্মদ (সা.) ও ইবরাহিম (আ.)-এর পক্ষ থেকে। (মেশকাত : ১/১২৮)

আরো পড়ুন – স্বামী স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম কানুন জেনে নিন

কোরবানির নিয়ম ও পদ্ধতি

কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে অনেক টিপস রয়েছে। তবে নিচের কয়েকটি পরামর্শ মানলে আপনার কোরবানি অনেক সহজ হয়ে যাবে।

১. পশুকে কিবলামু্খি করে শুইয়ে কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া বলে জবাই করবেন।

২. পশু জবাই করার সময়ে খাদ্যনালী ও দুই পাশের রগগুলো ভালো ভাবে কাটতে হবে।

৩. ধারালো ছুরি দিয়ে পশু জবাই করতে হবে। জবাইয়ের সময় পশুকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।

৪. কোরবানির পশুকে জবাই করার সময় অন্য পশু যেন সামনে না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পশুর সামনে পশু জবাই করলে অন্য পশু ভয় পায়।

কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

ঈদুল আজহায় আল্লাহ তাআলার জন্য পশু কোরবানির মাধ্যমে প্রতিপালন করতে হয়। পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় কোরবানি সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ওঠে এসেছে।

১. وَ اَتِمُّوا الۡحَجَّ وَ الۡعُمۡرَۃَ لِلّٰهِ ؕ فَاِنۡ اُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡهَدۡیِ ۚ وَ لَا تَحۡلِقُوۡا رُءُوۡسَکُمۡ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡهَدۡیُ مَحِلَّهٗ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ بِهٖۤ اَذًی مِّنۡ رَّاۡسِهٖ فَفِدۡیَۃٌ مِّنۡ صِیَامٍ اَوۡ صَدَقَۃٍ اَوۡ نُسُکٍ ۚ فَاِذَاۤ اَمِنۡتُمۡ ٝ فَمَنۡ تَمَتَّعَ بِالۡعُمۡرَۃِ اِلَی الۡحَجِّ فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡهَدۡیِ ۚ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ فِی الۡحَجِّ وَ سَبۡعَۃٍ اِذَا رَجَعۡتُمۡ ؕ تِلۡکَ عَشَرَۃٌ کَامِلَۃٌ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ لَّمۡ یَکُنۡ اَهۡلُهٗ حَاضِرِی الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

‘আর হজ ও উমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। এরপর যদি তোমরা আটকে পড় তবে যে পশু সহজ হবে (তা জবেহ কর)। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুন্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার মাথায় যদি কোনো কষ্ট থাকে তবে রোজা কিংবা সদাকা অথবা পশু জবেহ এর মাধ্যমে ফিদয়া দেবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি ওমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা জবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন রোজা পালন করবে। এই হল পূর্ণ দশ। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখো! নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)

আরো পড়ুন – দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ জেনে নিন এখনই

২. وَ اتۡلُ عَلَیۡهِمۡ نَبَاَ ابۡنَیۡ اٰدَمَ بِالۡحَقِّ ۘ اِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنۡ اَحَدِهِمَا وَ لَمۡ یُتَقَبَّلۡ مِنَ الۡاٰخَرِ ؕ قَالَ لَاَقۡتُلَنَّکَ ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰهُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ

‘আর তুমি তাদের কাছে আদমের দুই ছেলের (হাবিল-কাবিল) সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কোরবানি পেশ করলো। এরপর তাদের একজন থেকে (কোরবানি) গ্রহণ করা হলো আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হলো না। সে বললো, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করবো’। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের থেকে (কোরবানি) গ্রহণ করেন’।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ২৭)

৩. قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ – لَا شَرِیۡکَ لَهٗ ۚ وَ بِذٰلِکَ اُمِرۡتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ

‘বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সব সৃষ্টির রব’। ‘তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম’। (সুরা আনআম : আয়াত ১৬২-১৬৩)

৪. وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمۡ مِّنۡۢ بَهِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ- الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰهُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُهُمۡ وَ الصّٰبِرِیۡنَ عَلٰی مَاۤ اَصَابَهُمۡ وَ الۡمُقِیۡمِی الصَّلٰوۃِ ۙ وَ مِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ

‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যেসব জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও, যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৪-৩৫)

৫. وَ الۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰهَا لَکُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَکُمۡ فِیۡهَا خَیۡرٌ ٭ۖ فَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلَیۡهَا صَوَآفَّ ۚ فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُهَا فَکُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرۡنٰهَا لَکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

‘আর কোরবানির উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় সেগুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলো কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়- তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলোকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)

৬. فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُکَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ

‘এরপর যখন সে তার (ইবরাহিম) সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছলো, তখন সে বললো, ‘হে প্রিয় ছেলে!, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবেহ (কোরবানি) করছি, অতএব দেখ (এতে) তোমার কী অভিমত’; সে (ইসমাঈল) বললো, ‘হে আমার বাবা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা আস-সাফফাত : আয়াত ১০২)

৭. اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الۡبَلٰٓـؤُا الۡمُبِیۡنُ – وَ فَدَیۡنٰهُ بِذِبۡحٍ عَظِیۡمٍ – وَ تَرَکۡنَا عَلَیۡهِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ – سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ – کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ

‘নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। আর আমি এক মহান জবেহের (কোরবানির) বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম। আর তার জন্য আমি পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। ইবরাহীমের প্রতি সালাম।এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা আস-সাফফাত : আয়াত ১০৬-১১০)

৮. لَنۡ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوۡمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُهُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَهَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ – اِنَّ اللّٰهَ یُدٰفِعُ عَنِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ کُلَّ خَوَّانٍ کَفُوۡرٍ

‘কিন্তু মনে রেখো! কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা। এই লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন, সেজন্যে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো। হে নবি! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৭-৩৮)

৯. فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ

‘অতএব আপনার রবের উদ্দেশ্যেই নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ (সুরা কাউছার : আয়াত ২)

কোরবানি নিয়ে আপনার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হল –

কোরবানি কি ফরজ না ওয়াজিব?

কোরবানি ওয়াজিব। ইসলামে কোরবানি দেওয়ার কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজ হাতে কোরবানির পশু জবাই করতেন।

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম

বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিক নিয়ম অনুযায়ী কোরবানির মাংস তিন ভাগে বন্টন করা হয়ে থাকে। একভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং একভাগ প্রতিবেশী ও গরিব মিসকিনের জন্য বন্টন করা হয়ে থাকে।

ছাগল জবাই করার দোয়া

কোরবানির পশু জবাই করার জন্য যে দোয়া রয়েছে ছাগল জবাই করার ক্ষেত্রেও একই দোয়া পড়তে হবে। ছাগল জবাই করার জন্য আলাদা কোন দোয়া নেই।

গরু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া

গরু জবাই করার জন্য আলাদা কোন দোয়া নেই। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য যে দোয়া রয়েছে গরু জবাই করার ক্ষেত্রেও একই দোয়া পড়তে হবে। কোরবানির গরু জবাই করার পদ্ধতি উপরে আলোচনা করা হয়েছে।