ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও দোয়া

Rate this post

ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও দোয়াইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও দোয়া নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো। বর্তমান সময়ে ঘটা করে যেসব আনন্দ, উৎসব পালন করা হয়, তার একটি হলো জন্মদিন। শিশু-কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ সবার মাঝেই এই দিবস পালনের প্রবণতা দেখা যায় ব্যাপকভাবে। জন্মদিন পালন বর্তমানে অনেকটা সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হলেও মুসলিম কালচারের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই।

পশ্চিমা দেশগুলো থেকে উদ্ভাবন হওয়া এই কালচার পালনে শুরু থেকেই অনুৎসাহিত করে এসেছেন ইসলামি স্কলাররা। মুসলিমদের সব সময় কোরআন হাদিস অনুসরণ করা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারও অনুসরণ কর না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।’ (সূরা আরাফ : ৩)

প্রিয় মানুষের জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও দোয়া

মহানবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণে উম্মতকে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেলাম। কোরআন ও সুন্নাহ। যতক্ষণ তোমরা এই দুটি বিষয় ধরে রাখবে ততক্ষণ পথভ্রষ্ট হবে না।’ (মুয়াত্তায়ে মালিক, হাদিস : ১৬২৮)

স্বামীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও দোয়া বিষয়ে কোরআন এবং সুন্নাহ-কোথাও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেয়ি, তাবে তাবেইনদের থেকেও জন্মদিন পালনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আরো পড়ুন: ফরজ গোসলের কারণ ও নিয়ম জেনে নিন এখনই

এটি মূলত অমুসলিমদের কালচার। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিধর্মীদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। এক হাদিসে নবী করিম (সা.) আরও বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছেড়ে অন্য কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদিদের সাদৃশ্য অবলম্বন কর না, খ্রিস্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন কর না।’ (সিলসিলাহ সহিহা : ২১৯৪)

অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির নমুনা অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত।’ (সহিহুল জামে : ৬০২৫)

কোরআনের আয়াত ও হাদিসে আলোকে আলেমরা বলেন, ইসলামের দৃষ্টি জন্মদিন পালনের কোনও ভিত্তি নেই, এতে শুভেচ্ছা জানানোও ইসলামী বিধান সম্মত নয় এবং এর জন্য আলাদা কোনও দোয়াও বর্ণিত হয়নি হাদিসে।