কৃষিকাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ ও নিরাপদ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে স্মার্ট এগ্রিকালচার অর ফার্মার্স অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউর (SAFE) এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতকে আরোও সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য এটা খুবই ভালো একটা উদ্যোগ। তাই কৃষি মন্ত্রণালয় SAFE এর পাশে আছে, এটার সাথে কাজ করবে। আমরা চাই, সবাই এগিয়ে আসুক। SAFE এর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
বুধবার রাতে কৃষি খাতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাপোর্ট এবং সক্ষমতা উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম SAFE লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। এসময় SAFE প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন কনিকা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশাসহ টিম এর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোগটির প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন কনিকা বলেন, নিরাপদ কৃষিখাত কে আরো কিভাবে স্টেবল করা যায়,কিভাবে আগানো যায় এবং বাংলাদেশের মানুষকে আরো কিভাবে কৃষিটাকে ফোকাস করে উদ্ভুদ্ধ করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করবে SAFE।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা বলেন বাংলাদেশের যুব এবং নারীদেরকে কৃষিখাতে আরো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনার জন্য আমরা SAFE থেকে কাজ করবো এবং এটা নিয়ে তাদের বিভিন্ন রকম সাপোর্ট দিয়ে পাশে থেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি “কৃষি/ফার্মিং আইডিয়া” নিয়ে বড়ভাবে কাজ করবে।বাংলাদেশ এখন আইটি/আইটিইএস সেক্টরে তার সক্ষমতা বিকাশ ও প্রসারিত করছে, কিন্তু বাংলাদেশ মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। তাই প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পাশাপাশি, স্মার্ট ফার্মিং ও আমাদের আবাদি জমির উপযুক্ত ব্যবহারই আমাদের বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে সক্ষম।
যারা কৃষি খাতে কাজ করতে চায় এবং কৃষি উদ্যোক্তা হতে চায়, SAFE (Smart Agriculture for Farmers and Entrepreneurs) তাদের জন্য স্মার্ট ফার্মিং বা কৃষির (সবজি চাষ, গবাদিপশু পালন, পোলট্রি ফার্মিং এবং অর্গানিক ফার্মিং) নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবে এবং শেয়ার করবে।
স্মার্ট ফার্মিং/কৃষি এটার আরেকটি বড় কাজের জায়গা।বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের কৃষি জমির অনুপাত খুবই কম। তাই, ট্র্যাডিশনাল কৃষি আমাদের মোট জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা সঠিকভাবে মেটাতে পারে না।
নতুন কৃষি প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্মার্ট ফার্মিং ও সম্মিলিত ফার্মিং-এর নতুন কৌশলগুলো SAFE (Smart Agriculture for Farmers and Entrepreneurs) কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য নিয়ে আসবে। যার ফলে আমরা কম সম্পদ ব্যবহার করে বেশি উৎপাদন করতে পারবো এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবো।
সেইফ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং সাপোর্ট করবে। কৃষি এবং উদ্যোক্তা, দুটি বিষয়ই বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পৃক্ত এবং প্রভাববিস্তারকারী। একজন উদ্যোক্তা সহজেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হতে পারেন এবং অন্যদের জন্য সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। তাছাড়া, কৃষি আমাদের আর্থ-সামাজিক চক্রের প্রধান স্তম্ভ।
কৃষি উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে, দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারে এবং একজন ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের আর্থিক সক্ষমতাও তৈরি করতে পারে।
প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার কাজও করবেন তারা। যেকোন আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে ও সফল হতে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অত্যাবশ্যক। সফলতার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই।