দুই সিজদার মাঝের দোয়া ও ফজিলত নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নামাজ আদায় শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু ফরজ ও ওয়াজিব কাজ রয়েছে। নামাজ আদায় সহী হওয়ার জন্য ফরজ ও ওয়াজিব কাজগুলো ঠিকমতো আদায় করতে হয়। তা না হলে নামাজ হবে না। ফরজ ও ওয়াজিবের বাইরে নামাজে কিছু সুন্নত কাজও রয়েছে। যা পালন করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। এমন একটি আমল হলো দুই সিজদার মাঝে দোয়া পাঠ করা।
দুই সিজদার মাঝের দোয়া আরবি
হাদিসে শব্দগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্নতা রয়েছে। কোথাও কম, আবার কোথাও বেশি। সব মিলিয়ে এই দোয়ায় সাতটি শব্দ রয়েছে। সে হিসেবে দোয়াটির পূর্ণ রূপ এমন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي ، وَعَافِنِي ، وَارْفَعْنِي
দুই সিজদার মাঝের দোয়া বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, ওয়ার হামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়া আ’ফিনি ওয়ারফা’নি।
আরো পড়ুন – গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি? নিয়ম ও নিয়তসহ জেনে নিন
দুই সিজদার মাঝের দোয়া বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার ওপর রহম করুন। আমার প্রয়োজন পুরো করে দিন। আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন। আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার সম্মান বৃদ্ধি করুন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৫০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৮৮)
দুই সিজদার মাঝের দোয়া পড়ার বিধান
দুই সিজদার মাঝে দোয়াটি নামাজের অন্যান্য দোয়ার মতোই সুন্নত। হাম্বলি মাজহাবে এই দোয়া পড়াকে ওয়াজিব মনে করা হয়। তবে অধিকাংশ আলেমদের মতে এই দোয়া পড়া মুস্তাবহাব, ওয়াজিব নয়।
দুই সিজদার মাঝের দোয়ার ফজিলত
দুই সিজদার মাঝের এই দোয়ায় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা, রহমত, নিজের প্রয়োজন এবং সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছে। নামাজের সময় মানুষ পুরোপুরি নিজেকে আল্লাহর সামনে সপে দেয়, এ সময় তার সামনে পৃথিবীর আর কোনও কিছু থাকে না। তাই এসময় মনের চাওয়াগুলো আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন বলে আশা করা যায়।