অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে উঠতি অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করেছে সংগঠনটি।
তবে অভিনেত্রীর দাবি, পেশাগত কারণে নয় বরং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এই নিষেধাজ্ঞা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন জেবা। যেখানে রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন তিনি।
জেবা বলেন, ‘দোদুল সাহেব আমাকে মাঝরাতে ফোন দিতেন। তিনি বলতেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে এক ঘরে থাকেন না। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখার জন্যই আলাদা থাকেন। তাই আমাকে ফোন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন…।’
অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘একপর্যায়ে তিনি আমাকে তার গার্লফ্রেন্ড হওয়ার প্রস্তাব দেন। বলেন, আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাও তোমাকে সুপারস্টার বানিয়ে দেব। আমার কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে। হোয়াটসঅ্যাপে তিনি আমাকে ফোন ও টেক্সট দিতেন।’
উঠতি এই অভিনয়শিল্পী বলেন, ‘শুধু দোদুলই নয়, নাটকের অনেক পরিচালক আমাকে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডাকে। তারা আমার সঙ্গে টাইমপাস করতে চায়, নাটকের কাজ দিতে চায়। অনেক ডিরেক্টর আমাকে নানা ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলে। এসব বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি। কিন্তু এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
এসব প্রকাশ করায় ইন্ডাস্ট্রিতে তার কাজ কমে যেতে পারে জানিয়ে বলেন, ‘আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে আমার পেছনে কোনো সুগার ড্যাডি আছে। আমার কোনো সুগার ড্যাডি নেই। আমি যদি নিষিদ্ধ হয়ে যাই, হোক। তাতে আমার কোনোকিছু যায় আসে না। মিডিয়াতেই করে খেতে হবে এমনটা নয়। আমার অপশন আছে। আমি ফার্মেসিতে পড়াশোনা করছি, ফার্মাসিট হবো। আমার নাটক করতেই হবে এমন নয়। মিডিয়া ছাড়তে হলে ছেড়ে দেব।’
উল্লেখ্য, প্রয়াত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারির ফেসবুক টক শোতে প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। এরপর টিকটক করে পরিচিতি পান। সেখান থেকেই নাম লেখান টিভি নাটকে। ‘ক্রস কানেকশন’, ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশকিছু নাটকে দেখা গেছে তাকে।