দেশে এসেছে ভিভোর ওয়াই সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই৩৬। চলতি বছর এটি ভিভোর ওয়াই সিরিজের তৃতীয় স্মার্টফোন। তুলনামূলক কম বাজেটে একটু ভিন্ন লুক আর শক্তিশালী ব্যাটারির এই স্মার্টফোন সবার নজর কাড়ার মতোই।
ভাইব্রেন্ট গোল্ড এবং মেটিওর ব্ল্যাক এই দুই কালারে মিলবে ভিভো ওয়াই৩৬। যা দেখতেই বেশ দারুণ। তরুণসহ সবার কাছে স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে কাজ করে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। তাই বাজেটের দিকেও খেয়াল থাকে প্রতিষ্ঠানটির। ওয়াই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর মতো ভিভো ওয়াই৩৬ এর দামও হাতের নাগালে রেখেছে ভিভো।
গোল্ডেন রিপল প্রসেস ভিভো ওয়াই৩৬ এর ব্যাক সাইডে দেবে প্রিমিয়াম ক্রিস্টাল লুক। সোনালি ও সবুজের খেলা নজর কাড়বে সবার। ফ্লোরাইড এজি গ্লাস এর দারুণ প্রযুক্তি অন্যদের সাথে ভিভো ওয়াই৩৬ পার্থক্যটা তুলে ধরবে। হাতের ছাপ বা কোনো দাগের দেখাই মিলবে না। যে কারণে ভিভো ওয়াই৩৬ এর লুকটা সব সময়ই মনে হবে এলিট।
ভিভো ওয়াই৩৬ তে আছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। পাশাপাশি ৮ জিবি র্যাম এবং আরো অতিরিক্ত ৮জিবি র্যামের বিশাল স্টোরেজ এর মান নিশ্চিত করেবে শতভাগ। ফলে এক ট্যাপেই যেমন যেকোনো অ্যাপ ওপেন করা যাবে, তেমনি সংরক্ষণ করা যাবে সকল অ্যাপ ডেটা। এমনকি একসাথে ২৭ টি অ্যাপ রাখা যাবে ব্যাকগ্রাউন্ডে। অ্যাপ পরিবর্তনেও অপেক্ষার অবসান হবে ব্যবহারকারীর।
ভিভো ওয়াই৩৬ এ আছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি। টানা গেমিং ও ভিডিওতে ডুবে থাকতে কোনো বাধাই আসবে না। ফাস্ট চার্জিং এর জন্য রয়েছে ৪৪ ওয়াটের টাইপ-সি ফাস্ট চার্জার। যা নিরাপদ চার্জিং নিশ্চিত করে ব্যাটরির আয়ু বাড়াবে প্রায় ২৫ শতাংশ।
৬.৬৪ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস এলসিডি ডিসপ্লে পাওয়া যাবে ভিভো ওয়াই৩৬ স্মার্টফোনে। এর ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্জ যা কাজ করবে যথেষ্ট দ্রুত ও নির্ভুলভাবে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার হোক কিংবা কন্টেন্ট দেখা-এমন সকল কাজেই ভিভো ওয়াই৩৬ হবে উপযুক্ত সঙ্গী।
ভিভো ওয়াই৩৬ এ আছে ৫০ এমপি রিয়ার ক্যামেরা+২ এমপি বোকেহ এবং ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা। ভিভো ওয়াই৩৬ এর ডাবল এক্সপোজার মোড ব্যবহার করে দুটো ছবিকে একসাথে দারুণভাবে কম্পোজ করা সম্ভব। এমন ধরণের ফটো এডিট সামাজিক মাধ্যমে নজর কাড়বে বেশ।
ফ্যাশনপ্রেমিদের দ্রুত নজর কাড়বে ভিভো ওয়াই৩৬। এর দাম রাখা হয়েছে ২৬,৯৯৯ টাকা।
ভিভো প্রসঙ্গে জেনে নিন –
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।