রুই মাছের ঝোল রেসিপি – তৈরি করুন সহজেই

5/5 - (2 votes)

রুই মাছের ঝোল রেসিপিআলু দিয়ে মাছের ঝোল এর জুড়ি নেই। তাই তো রুই মাছের ঝোল রেসিপি! বাজারে সবসময় রুই মাছ পাওয়া যায়। তাজা রুই মাছ ভুনা যে কত মজা তা অনেকেই জানেন। রুই মাছের মাথা দিয়েও তৈরি করা যায় হরেক রকমের খাবার। রুই মাছ দিয়ে অনেক খাবার তৈরি করা গেলেও বাঙালিদের কাছে রুই মাছের ঝোল বেশি জনপ্রিয়।

জেনে নিন রুই মাছের ঝোল রেসিপি

রুই মাছের ঝোল তৈরি করতে যা যা লাগবে

১. রুই মাছের টুকরা তিন থেকে পাঁচ পিস
২. টমেটো ছোট করে কাটা এক কাপ
৩. পেঁয়াজ বাটা দুই চা চামচ
৪. আদা বাটা এক চা চামচ
৫. রসুন বাটা এক চা চামচ
৬. জিরা বাটা বা গুঁড়া এক চা চামচ
৭. গরম মশলা আধা চা চামচ
৮. তেজপাতা দুইটি
৯. লবণ পরিমাণ মতো
১০. তেল পরিমাণ মতো
১১. কাঁচা মরিচ ১০ থেকে ১২টি

রুই মাছের ঝোল যেভাবে তৈরি করবেন

মাছ ভালোভাবে ধুয়ে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, আধা চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, ও সামান্য লবণ দিয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছগুলো হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখুন। ঐ গরম তেলে তেজপাতা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নেড়ে বাকি মশলা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়ুন। কষানো হলে সামান্য পানি দিন।

এবার কষানো মশলার উপরে তেল ভেসে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢেকে দিয়ে কিছু সময় রান্না করুন। আঁচ কমিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট রাখুন। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রুই মাছ খাওয়ার উপকারিতা

বছরজুড়ে বাজারে পাওয়ার যায় এমন একটি জনপ্রিয় মাঝ হচ্ছে ‘রুই’। একটি রুই মাছে আছে ৭৯ গ্রাম ক্যালরি, ৭৬.৭ গ্রাম পানি, ২.৬৬ গ্রাম নাইট্রোজেন, ১৬.৬ গ্রাম প্রোটিন, ১.৪ গ্রাম ফ্যাট এবং ১০০ এমজি সোডিয়াম রয়েছে। আজ আপনাকে জানাবো রুই মাছ খাওয়ার উপকারিতা –

১. রুই মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা শরীরের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

২. রুই মাছ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে বিদ্যমান ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দারুণ কাজে আসে। এই উপাদান শুধু দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় না, একইসঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনকেও প্রতিরোধ করে।

৩. গবেষণা বরছে, সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন রুইমাছ খেলে শরীরে “ই পি এ” এবং “ডি এইচ এ” এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বলা যায়, রুই মাছ রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটায়।

৪. রুই মাছে থাকা বিশেষ কিছু উপাদান ফুসফুসের কর্মক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে বায়ু দূষণের কুপ্রভাব শরীরের উপর পরতেই পারে না। সেই সঙ্গে অ্যাস্থেমার প্রকোপও হ্রাস পায়।

৫. রুই মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হল হার্টের জন্য মহৌষধি। তাই তো এই প্রাকৃতিক উপাদনটি যত বেশি করে শরীরে প্রবেশ করবে, তত হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

৬. জয়েন্টের কর্মচঞ্চলতা বৃদ্ধি করতে রুই মাছে জুড়ি নেই।

৭. রুই মাছে উপস্থিত প্রোটিন কোলাজেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।