গ্লোবাল প্যান্টানাল সেবার ক্ষমতায়নে ‘অপো কালারওএসহ্যাক ২০২৩’

Rate this post

গ্লোবাল প্যান্টানাল সেবার ক্ষমতায়নে ‘অপো কালারওএসহ্যাক ২০২৩’“প্যান্টানাল সার্ভিস, এমপাওয়ারিং লাইভস উইথ ইন্টেলিজেন্স” প্রতিপাদ্য নিয়ে অপো কালারওএসহ্যাক ২০২৩, ১১ জুলাই (বেইজিং সময়) শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি বিশ্বব্যাপী ডেভেলপারদের প্যান্টানাল ক্ষমতা ধরে রাখতে উত্সাহিত করার পাশাপাশি জীবনযাত্রা, পরিবহন এবং বিনোদনের মতো বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করে, বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি কালারওএস ব্যবহারকারীদের উন্নত জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

রিলিজের পর থেকে প্যান্টানাল কম্প্রিহেনসিভ ইন্টেলিজেন্ট প্ল্যাটফর্মটি ২১টি ইকো-পার্টনারদের সহযোগিতায় কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে চীনের মেইটুয়ান, বাইদু ম্যাপ, উমেট্রিপ এবং চীনে’র জিয়াওহংশু, স্ন্যাপচ্যাট, স্পটিফাই, জামাটো এবং সুইগি। এর মধ্যে ৪ টি পরিবেশগত অংশীদার জীবন পরিষেবা, ভ্রমণ, বিনোদন, অফিস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতা প্রদান করেছে, যার অর্থ ৩০০,০০০+ জনেরও বেশি ডেভেলপার প্যান্টানাল ইকোসিস্টেম নির্মাণে অবদান রেখেছে।

প্যান্টানাল ইনোভেশন ইকোসিস্টেমের অংশ হিসেবে, ‘অপো কালারওএসহ্যাক ২০২৩’ আনুষ্ঠানিকভাবে ১১ জুলাই থেকে গ্লোবাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং যা চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বছরের প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপর ফোকাস করবে, যার লক্ষ্য লাইফস্টাইল পরিষেবা, পরিবহন পরিষেবা এবং বিনোদন পরিষেবার মতো বিষয়গুলোতে স্থানীয় পরিষেবা সরবরাহকারী বা ডেভেলপারদের খুঁজে বের করা, স্মার্ট পরিষেবা উন্নত করতে উত্সাহিত করা, প্যান্টানাল প্ল্যাটফর্ম শেখার মাধ্যমে দৃশ্যকল্প এবং ইন্টারঅ্যাকশন ডিজাইন করা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিষেবা অন্বেষণ করা।

পূর্ববর্তী পুরষ্কারের অর্থ প্রদানের পাশাপাশি প্রতিযোগিতাটি প্যান্টানাল প্ল্যাটফর্ম এবং প্যান্টানাল ডেভকিটের সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ক্ষমতা উন্মুক্ত করবে, যার মধ্যে রয়েছে প্যান্টানাল ডেভএফডব্লিউকে, প্যান্টানাল ডেভস্টুডিও, এবং ডেভেলপারদের দ্রুত কম খরচে, ক্রস-টার্মিনাল পরিষেবা প্রদানের সহায়ক নির্দেশিকা। প্যান্টানাল প্ল্যাটফর্ম কনটেক্সট অ্যাওয়ারনেস, সার্ভিস রানিং এবং ন্যাচারাল ইন্টার‌্যাকশন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষমতা সহজলভ্য করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, প্যান্টানাল ডেভএফডাব্লুকে অত্যাধুনিক ক্রস-টার্মিনাল, মাল্টি-সার্ভিস এন্ট্রি পয়েন্টগুলোকে সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেসে রূপান্তর করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ডেভেলপারদের চাহিদা মেটাতে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অপারেটিং দক্ষতা অপ্টিমাইজ করার সময় প্রতিটি উন্নয়নকে বিভিন্ন টার্মিনাল এবং এন্ট্রি পয়েন্টগুলোর সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে সক্ষম করে তোলে।

ব্র্যান্ড-নিউ প্যান্টানাল ডেভস্টুডিও প্রাসঙ্গিক প্যান্টানাল মডিউলের জন্য সমন্বিত উন্নয়ন পরিবেশকে একত্রিত করে ডেভেলপারদের জন্য একাধিক ব্যবসায়িক মডিউল অপশন সরবরাহ করতে পারে, ফলে তাদের ব্যয় হ্রাস করতে এবং দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে সহায়তা করে। এটিতে একাধিক এন্ট্রি পয়েন্ট এবং ডিভাইসজুড়ে ধারাবাহিক ক্রস-প্ল্যাটফর্ম রেন্ডারিং এবং রিয়েল-টাইম প্রিভিউ রয়েছে, যা ডেভেলপারদের দ্রুত ফলাফল পেতে এবং যাচাই করতে সক্ষম। কালার ‘অপো কালারওএসহ্যাক ২০২৩’-এ ডেভেলপাররা এই প্যান্টানাল প্লাটফর্ম ওপেন ক্যাপাবিলিটি এবং প্যান্টানাল ডেভকিটের অভিজ্ঞতা পাবেন। একজন ডেভেলপার তিন দিনের মধ্যে পরিষেবা উন্নয়ন সম্পন্ন করবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড পরিষেবা আপলোড করবে বলে তারা আশাবাদী।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ডেভেলপারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং প্যান্টানাল প্লাটফর্ম ওপেন ক্যাপাবিলিটি এবং প্যান্টানাল ডেভস্টুডিও ব্যবহারে ডেভেলপারদের গাইড করার জন্য অপো কালারওএস অনলাইন ইভেন্ট ব্রিফিং এবং প্রশ্নোত্তর এবং ব্যাখ্যার জন্য অনলাইন সেশনের আয়োজন করেছে। চূড়ান্ত রাউন্ডের ডিভাইস ডিবাগিং পর্বে অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি অপো টেকনিক্যাল টিমের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা পাবেন। এছাড়াও, প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ভেন্যুতে স্থানীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় উদ্যোক্তা এবং অপো শিল্প বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যেখানে তারা অংশগ্রহণকারীদের কার্যকরী পরামর্শ দেবেন। উল্লেখ্য, অপো অ্যাপ স্টোর বিজয়ী কাজগুলোকে সমর্থন এবং পুরস্কৃত করবে।

এছাড়াও, অপো কালারওএস প্যান্টানাল ইকোসিস্টেম ডেভেলপারদের জন্য বছরব্যাপী ডেভেলপার লাইভ স্ট্রিম (ওটক), ডেভেলপার কমিউনিটি, সেলুন ইভেন্ট এবং ওপেন প্ল্যাটফর্মের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ডেভেলপার একাডেমির অংশসহ পূনাঙ্গ সহায়তা প্রদান করে থাকে। আগামী দিনগুলিতে আরও সেলুন ইভেন্ট, লাইভ স্ট্রিম এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ সহজলভ্য করা হবে।

অপো সীমানা-বহির্ভূত ইকোসিস্টেম তৈরি করতে কালারওএস প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডেভেলপারদের আরও বেশি সহায়তা প্রদান, উন্নয়ন বাধা হ্রাস, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা অপ্টিমাইজ করা এবং প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বৈশ্বিক নির্মাতাদের সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ফলে, বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি কালারওএস ব্যবহারকারীদের উন্নত জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে আরও উন্মুক্ত এবং গতিশীল প্যান্টানাল ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হবে।