অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? এখনই জেনে নিন

4.5/5 - (13 votes)

অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? এখনই জেনে নিনঅজু ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? আজকের পোস্টে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু করা আবশ্যক। প্রতিদিনের মৌলিক ইবাদত যেমন- নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত- এসবের জন্য অজু করা আবশ্যক। অজু ছাড়া নামাজ পড়া যায় না এবং কোরআন শরিফও স্পর্শ করা যায় না।

রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘তোমাদের কারো যদি অজু ভেঙে যায়, তাহলে পুনরায় অজু করার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার নামাজ কবুল করেন না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৯৫৪; মুসলিম, হাদিস : ২২৫)

অজু ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি?

বিভিন্ন কারণে অজু ভেঙে যায়। আবার নতুন করে অজু করতে হয়। অজু ভঙ্গের কারণ ৭টি।

  1. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া, হাদিস : ১/৭)
  2. রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া : ১/১০)
  3. মুখ ভরে বমি করা।
  4. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।
  5. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।
  6. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।
  7. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে। (সুনানে দারা কুতনি, হাদিস : ৬১২, মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ১১০)

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৫১২)- এজন্য একজন মুসলিমের মৌলিক ইবাদত পালনের জন্য সবসময় অজু করা আবশ্যক। মৌলিক ইবাদত ছাড়াও সব সময় অজু অবস্থায় থাকলে বিশেষ পুরস্কার রয়েছে।

আরো পড়ুন – রোগ মুক্তির দোয়া বাংলা উচ্চারণসহ জেনে নিন

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত বেলালকে (রা.) বললেন, তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বলো, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। বেলাল (রা.) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হলো, আমি রাতে ও দিনে অজু অবস্থায় থাকি। আর যখনই অজু করি তখনই সাধ্যমতো নামাজ আদায় করি।’ (কানজুল উম্মাল : ৩৫৪৫৪)