মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

1.5/5 - (2 votes)

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? চিকিৎসকদের মতে, মাসিক মিস হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ মহিলাদের গর্ভধারণের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। তবে গর্ভবতী হওয়ার পুরো লক্ষণ ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়?

প্রেগন্যান্ট হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে মর্নিং সিকনেস। এর কারণে মহিলারা অনেক দুর্বলতা অনুভব করেন। মাথা অনেক ঘুরায়। গর্ভধারণের ৩০ দিন পর থেকে মর্নিং সিকনেস দেখা যায়।

চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ড মিস হওয়া মানেই আপনি গর্ভবতী এমনটা ভাবার কারণ নেই। অনেকে কারণেই পিরিয়ড মিস হতে পারে। আপনি কনসিভ করেছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নেওয়া ভালো। প্রেগনেন্ট হলে অনেকের প্রেসার কমে যায়। এমন অবস্থা কি করবেন? জেনে নিন প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে? লক্ষণ ও করণীয়

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

আপনি কনসিভ করেছেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রসাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়। এসময় প্রস্রাব বেশি ঘনীভূত থাকে। যে কারণে প্রস্রাবে থাকা এইচসিজি হরমোনের উপস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যায়। তবে পিরিয়ডের ডেট আসার আগে কিংবা প্রচুর পানি পান করে এই টেস্ট করলে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে।

প্রেগন্যান্সি কিটের প্যাকেটে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার নির্দেশনা লেখা থাকে। সেই নির্দেশনা পড়ে পরীক্ষা করুন। একটি পরিষ্কার পাত্রে সকালের প্রথম প্রস্রাব থেকে কিছুটা সংগ্রহ করুন। প্রেগন্যান্সি কিটের নির্দিষ্ট স্থানে ড্রপারের সাহায্য প্রস্রাবের নমুনা দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। একটি দাগ উঠলে আপনি গর্ভবতী নন, দুটি দাগ উঠলে আপনি গর্ভবতী।

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়?

শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় হলো পিরিয়ডের তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত ১০ দিন পর। কারণ পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা যায় না।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়?

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়?

প্রেগন্যান্ট হওয়ার ৩০ দিন পর মাসিক বন্ধ হয়। আপনার মাসিক নিয়মিত হলে হঠাৎ কোন মাসে বন্ধ থাকলে বুঝতে পারবেন আপনি প্রেগনেন্ট। তখন আপনাকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে। এসময় আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন অনুভব করবেন। যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, শারীরিক সম্পর্কের পরেই গর্ভধারণ হয়ে যায় এমন ভাবার কারণ নেই। গর্ভবতী হওয়ার পুরো প্রক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় লাগে। একটি শুক্রাণু ডিম্বানুর কাছে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। এরপর সেই শুক্রাণু যদি ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়, তবেই ভ্রুণ তৈরি হয়।

পিরিয়ডের তারিখ শেষ হওয়ার ১০ থেকে ১৪ দিন পর পরীক্ষা করলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো। এই পরীক্ষায় পজেটিভ আসলে হাসপাতালে গিয়ে রক্তের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। তারপর একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে

মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?

চিকিৎসকদের মতে, মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। প্রেগন্যান্ট হলে শরীরে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনোর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বমি বমি ভাব বেড়ে যায়। অধিকাংশ মহিলা গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহ থেকে বমির সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এরকম কিছু লক্ষণ আপনি বুঝতে পারবেন।

লবন দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

লবন দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে। আগের দিনে অর্থাৎ নানি-দাদিদের সময়ে বাড়িতে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হতো। আপনি যদি সেভাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট তাহলে পদ্ধতি জেনে নিন-

যা লাগবে: পরিষ্কার কাচের গ্লাস, সামান্য লবন, সকালের প্রথম প্রস্রাবের কয়েক ফোঁটা, একটি পরিষ্কার ড্রপার।

যেভাবে পরীক্ষা করবেন: ড্রপারের সাহায্যে গ্লাসের মধ্যে সকালের প্রথম প্রস্রাবের কয়েক ফোঁটা নিন। এবার এর উপর সামান্য লবণ ফেলে দিন। অপেক্ষা করুন মিনিট পাঁচেক। যদি বুদবুদ উঠতে দেখেন তাহলে বুঝে নেবেন যে আপনি মা হতে চলেছেন। যদি কোনো পরিবর্তন না দেখতে পান তবে আপনার গর্ভবতী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

সকালে ঘুম থেকে উঠই প্রথম প্রস্রাবের মধ্যে একটু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর যদি বুদবুদ হতে শুরু করে এবং মিশ্রণের রং পরিবর্তন হয়ে নীল হতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে আপনি কনসিভ করেছেন। তবে এ ধরণের পরীক্ষার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই।