আজকে ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে? ২৭ জুন ২০২৩

Rate this post

আজকে ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে? সকাল থেকে ঢাকার আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। রাজধানীন বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও এর আশেপাশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।

আজকে ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে?

আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বৃষ্টি হবে কিনা?

ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বায়ুমানের সূচকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে ৬৮ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ১৯ তম স্থানে রয়েছে। যা বায়ুর মানের সূচক অনুযায়ী ‘মধ্যম’ পর্যায়ের ধরা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, পাকিস্তানের লাহোর এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো যথাক্রমে ১৬৯, ১৫৯ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

বায়ুমান সূচকের স্কোর ১৫০ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। আর বায়ুমানের এই সূচকের স্কোর ৩০১+ অতিক্রম করলে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যেটি বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

একিউআই হলো দৈনিক বায়ুর গুণমান প্রতিবেদন করার জন্য একটি সূচক, একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা পরিচ্ছন্ন বা দূষিত এবং কী সম্পর্কিত স্বাস্থ্য প্রভাব তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে তা মানুষকে জানায়। বাংলাদেশে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স(একিউআই) পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দূষণকারী- পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ এবং পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।