ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে রাজধানীর যানজট কমবে। এমন প্রত্যাশা থেকেই উদ্বোধন করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক নিয়ে এই প্রকল্পে থাকবে ১১টি টোল প্লাজা। এর মধ্যে ৫টি থাকবে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প। এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, র্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিতে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল পরিশোধ করতে হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে কোন ধরনের সিগনাল ছাড়া খুব কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা যাবে।
বিনিয়োগকারীরা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে তাদের অর্থ তুলবে যানবাহন থেকে আদায়কৃত টোলের মাধ্যমে। এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সর্বনিম্ন টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সির মতো হালকা শ্রেণীর যানবাহনের জন্য টোলের এ হার ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) জন্য সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল ২০২৪
যানবাহনের শ্রেণি | টোল ফি |
প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি | ৮০ টাকা |
মাইক্রোবাস | ৮০ টাকা |
পিকআপ | ৮০ টাকা |
প্রকাশের সূত্র | নিউজ ঢাকা |
হালকা ট্রাক | ৮০ টাকা |
মাঝারি ট্রাক | ৩২০ টাকা |
ভারি ট্রাক | ৪০০ টাকা |
মিনি বাস | ১৬০ টাকা |
যাত্রীবাহী বাস | ১৬০ টাকা |
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল কত?
গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল (ভ্যাটসহ) ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের জন্য (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। আর সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) জন্য টোল ১৬০ টাকা। আরো পড়ুন – Dhaka Elevated Expressway Toll Rates and Details 2023
Dhaka Elevated Expressway Toll Rates and Details 2024
1. Light Vehicles (Private Cars, Microbuses, Taxis, Jeeps)
– Tk 100 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 125 for full usage of the expressway.
2. Buses
– Tk 200 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 250 for full usage of the expressway.
3. Medium-Sized Trucks (Up to Six Wheels)
– Tk 400 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 500 for full usage of the expressway.
4. Large Trucks (More than Six Wheels)
– Tk 500 for entry or partial usage of the expressway.
– Tk 625 for full usage of the expressway.
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দেবে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে কাওলা থেকে ফার্মগেটে মাত্র ১০ মিনিটে যাওয়া যাবে।
প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি ট্রাঞ্চে ভাগ করা হয়েছে। ট্রাঞ্চ-১. এয়ারপোর্ট-বনানী-রেলস্টেশন পর্যন্ত। ট্রাঞ্চ-২. বনানী রেলস্টেশন-মগবাজার পর্যন্ত। ট্রাঞ্চ-৩. মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রথম ধাপের নির্মাণ কাজের ১ হাজার ৫০০টি পাইলের মধ্যে ১ হাজার ৩৪০টি পাইল, ৩৫০টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৩২৪টি পাইলক্যাপ, ৩৫০টি কলামের ২৩৯টি কলাম, ৩৫০টি ক্রসবিমের মধ্যে ১২৮টি সম্পন্ন হয়েছে। ৩ হাজার ১৫৪টি আইগার্ডারের মধ্যে ২২৪টি সম্পন্ন হয়েছে যার বাস্তব অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসাবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যা চলবে না
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।