উপকূলের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে কর্মশালা

Rate this post

উপকূলের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে কর্মশালাবাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে আজ আয়োজিত হল একটি দিনব্যাপী ট্রেইনারস ট্রেনিং কর্মশালা। এক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশ নেন খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা উপজেলার ১০টি স্কুলের ২৬জন শিক্ষক, ২১ জন স্থানীয় মেন্টর ও ভলান্টিয়ার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ।

আন্তর্জাতিক সংস্থা মালালা ফান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ফ্রীডম ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের তিনটি উপকূলীয় উপজেলা খুলনার রূপসা, বাগেরহাটের রামপাল এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোট ৬টি মাধ্যমিক স্কুলের ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, গণিত, প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স এর উপর দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে বিডিওএসএন। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড, রোবটিক্স অলিম্পিয়াড, সাইন্স অলিম্পিয়াড ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে এই উপজেলাগুলো ঘিরে।

প্রকল্পের টেকসই বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকমন্ডলীকেও এই সকল কার্যক্রমের আওতায় আনতেই এই শিক্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় দিনব্যাপী শিক্ষকদের ট্রেনিং কারিকুলামের অরিয়েন্টেশন প্রদান করা হয়।

উক্ত আয়োজনের সমাপনী পর্বের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ, রামপাল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ার উল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমলুক ছাবির আহমেদ।

দিনব্যাপী বিভিন্ন সেশনের পর শিক্ষকমন্ডলী তাদের মত বিনিময় পর্বে নিজেদের অনুভূতি ব্যাক্ত করে বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পারিক সহযোগিতা উপকূলীয় এলাকার মেয়েদের কিছুটা হলেও ভিন্নভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে। মুনির হাসান তার বক্তব্যে বলেন, মেয়েরা পড়াশুনা করবে শুধুমাত্র জিপিএ ৫ এর জন্য নয়, বরং একজন প্রবলেম সলভার হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীকে নেতৃত্ব দিতে।

মমলুক ছাবির আহমেদ আয়োজনে আগত শিক্ষকদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন তার শিক্ষক। আপনাদের এই আন্তরিকতা প্রমাণ করে আমাদের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের জন্য এই তিনটি উপজেলা একটি রোল মডেল হিসেবে তৈরী হতে বেশী দেরী নেই। রামপালের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এ আনোয়ার উল কুদ্দুস বলেন, নতুন কারিকুলামের যে মূল উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়নে এই প্রকল্প আমাদের অনেক সহায়ক হবে।

এর আগে প্রকল্পের নির্ধারিত ৬টি স্কুল শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সাতক্ষীরা, শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুল কমরেড রতনসেন কলেজিয়েট গার্লস হাই স্কুল সাতক্ষীরা, নৈহাটী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা, পেড়িখালী মডেল হাইস্কুল, বাগেরহাট, বড়কাটালি বহুমূখী হাইস্কুল বাগেরহাট বেশ কিছু বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং, রোবটিক্স এবং গণিতের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজিত হয় যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, মালালা ফান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই বছরের এপ্রিল থেকে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৮০০মেয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিডিওএসএন।