জায়েদ খান ‘ক্ষুব্ধ’ হলেন কেন?

Rate this post

জায়েদ খান ‘ক্ষুব্ধ’ হলেন কেন?জায়েদ খান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বিশ্বের ৪০ জন নাগরিক। এই তালিকায় জায়েদ খান রয়েছে।

জায়েদ খান বলেছেন, ‘এটি আমার জীবনের সেরা অর্জন। বাংলাদশের মানুষকে এটি উৎসর্গ করলাম।’ তিনি দাবি করেন, দুই বছরের জন্য তাকে পিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিকে নানা ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে। অনেকেই বলেছেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে সত্যতা যাচাই-বাছাই করে ব্লিটজ।

এক প্রতিবেদনে ব্লিটজ জানিয়েছে, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ জাতিসংঘের সম্মেলন কক্ষ ভাড়া করে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান করেছে। তারা জাতিসংঘের কোন প্রতিষ্ঠান নয়।

বিষয়টি জায়েদ খানের নজরে এলে তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ তো অনেক কিছু বলবে। ইউনূসের অ্যাওয়ার্ডের সময়ও বলেছিল যে, কিনে নিয়ে এসেছে। ওরা যে ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে দুই দেশের রানি, রাষ্ট্রদূত, নিইজার্সির পুলিশ প্রধান, এখানের মেয়রের নাম রয়েছে। অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে। জাতিসংঘের হলরুম ভাড়া নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সেখানে লোকদের ঢোকানো হয়েছে। ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। এরা শ্রেষ্ঠ নায়ক না। এখানে বিভিন্ন লেখক, রাষ্ট্রদূতরাও রয়েছে।’

Zayed Khan’s humanitarian award

তার বলেন, ‘আমি কি কোথাও বলেছি যে এটা সরাসরি জাতিসংঘের পুরস্কার? বাংলাদেশের একটা ছেলে পুরস্কার পেয়েছে, এটাতে দেশের মানুষের গর্ব হওয়ার কথা, খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু সেটাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এত নেগেটিভ কথাবার্তা মানুষের…।’

নায়ক জায়েদ খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে মহম্মদ হান্‌নান পরিচালিত ভালবাসা ভালবাসা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু হয়।