শর্ট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক, সম্প্রতি টেক্সট ভিত্তিক পোস্ট ফিচার চালু করেছে। টিকটকে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য এটি একটি নতুন ফরম্যাট। নতুন ফিচারটির মধ্য দিয়ে কনটেন্ট নির্মাণের ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত করছে টিকটক। গল্প, কবিতা, রেসিপি কিংবা অন্য কোন লিখিত বিষয়বস্তু তুলে ধরতে প্ল্যাটফর্মটির কমিউনিটির জন্য এটি একটি নতুন উপায়।
অভিনব সব টুলসের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করে টিকটক।একইসাথে প্রতিশ্রুতি দেয় সকল ধরনের সৃজনশীলতাকে লালন করার। যার ধারাবাহিকতায় ভিডিও, ছবি, ডুয়েট এবং স্টিচ সহ বিভিন্ন কনটেন্টের ফরম্যাট এসেছে প্ল্যাটফর্মটিতে। টেক্সট ভিত্তিক পোস্ট ফিচারটি বিকল্প হিসেবে আরও একটি মাত্রা যোগ করেছে এখানে। যেখানে ক্রিয়েটররা তাদের লেখার বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারে অনায়াসে। দর্শকরাও এতে উৎসাহ পাচ্ছে সহজে।
টিকটক – অবিরত প্রকাশের অভিজ্ঞতা
সবচেয়ে সহজ ভাবে টেক্সট-ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি এবং সেটি শেয়ার করা যাবে এখানে। ক্যামেরা পেইজে, ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি অপশন থাকে: ফটো, ভিডিও এবং টেক্সট। টেক্সট অপশনটি সিলেক্টের পর আসবে টেক্সট ক্রিয়েশন পেইজ। ক্রিয়েটররা তাদের চিন্তাভাবনা বা কোন আইডিয়া লিখতে পারবেন এই ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসটিতে।
টিকটক – কার্যকরী পোস্টের জন্য কাস্টমাইজেশন
পোস্ট পেইজে ব্যবহারকারীরা পরিচিত কাস্টমাইজেশনের অপশনগুলো পাবেন। যা ভিডিও বা ছবির পোস্টগুলোর মতো টেক্সট পোস্টকেও গতিশীল এবং আকর্ষণীয় করে তুলে। সাউন্ড যুক্ত করা, লোকেশন ট্যাগ করা, কমেন্ট করা এবং ডুয়েট করার মতো সকল অপশন পাওয়া যাবে এখানে।
টিকটক – সৃজনশীলতা প্রসারের বৈশিষ্ট্য
টেক্সট-ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে উন্নত করতে এবং দর্শকদের আরও মুগ্ধ করতে ডিজাইন করা হয়েছে টেক্সট পোস্ট। যেখানে রয়েছে অনেকগুলো ফিচার। এর কিছু ফিচার হলো-
- স্টিকার: ভিন্ন সব অভিব্যক্তিপূর্ণ স্টিকার রয়েছে এতে। যা কনটেন্টের পরিপূরক এবং ব্যক্তিত্ব তুলে ধরায় একটি আলাদা সংযোগ তৈরি করে।
- ট্যাগ এবং হ্যাশট্যাগ: অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করার মাধ্যমে অন্যদের সাথে যুক্ত হতে পারেন ক্রিয়েটররা। একইসাথে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগগুলো ব্যবহার করে প্রাসঙ্গিক কথোপকথনে অংশগ্রহণ করতে পারেন তারা।
- ব্যাকগ্রাউন্ড কালার: পারসোনালাইজেশন বা ব্যক্তিগতকরণ এখানে একটি মূল বিষয়। ব্যবহারকারীরা তাদের স্টাইলের সাথে মিলিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ পছন্দ করতে পারবেন। এটি তাদের টেক্সট পোস্টগুলোকে পপ করতেও সাহায্য করবে।
- সাউন্ড যুক্তকরণ: মিউজিক হল টিকটকের কেন্দ্রবিন্দু। আর এখন, টেক্সট পোস্টের সাথেও মিউজিক সংযুক্ত করা যাবে। যা পড়ার অভিজ্ঞতাকে সাউন্ডট্র্যাকের মাধ্যমে বাড়িয়ে তোলে।
- ড্রাফ্ট এবং ডিসকার্ড: সৃজনশীলতার একটি অংশ হল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেই প্রেক্ষিতে ক্রিয়েটরদের ড্রাফ্ট সংরক্ষণ এবং অপ্রকাশিত পোস্টগুলো পুনরায় দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। যার ফলে তারা তাদের কাজ যেকোনো সময় পরিমার্জন করতে পারবে।
সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে এবং ভিন্ন সকল ব্যবহারকারীদের এমন একটি প্ল্যাটফর্মে উৎসাহিত করতে টিকটক কাজ করে যাচ্ছে। লিখিত অভিব্যক্তির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার একটি জায়গা হলো টিকটক। গল্প বলা, শৈল্পিক দিক নিয়ে কথা বলা এবং সংযুক্ত থাকার নতুন একটি উপায় করে দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।