সরকারের ৩০৯ কোটি টাকা আ’ত্মসাতের অ’ভিযোগে দায়ের করা একটি মা’মলায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও সাবেক একাধিক মন্ত্রীসহ মোট ১৭ জনের দে’শত্যা’গে নি’ষেধা’জ্ঞা দিয়েছেন আদালত। রোববার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বি’চারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশ প্রদান করেন।
দু’র্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান এই আবেদনের নেতৃত্ব দেন এবং সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মূলত আর্থিক অনিয়মের তদন্ত চলাকালীন আসামিরা যাতে দেশের বাইরে পা’লিয়ে যেতে না পারেন সেই লক্ষ্যেই এই আইনি ব্যবস্থা।
দেশত্যা’গে নি’ষেধা’জ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসাইন ও ওবায়দুল কাদের। তালিকায় আরও নাম রয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মো. আব্দুল মান্নানের। এছাড়া এম এ এন সিদ্দিক, রফিকুল জলিল ও মোহাম্মদ শফিকুল কারীমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বি’রুদ্ধেও একই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আ’দালতের আদেশে বলা হয়েছে যে তদন্ত চলাকালীন এসব ব্যক্তিরা দে’শত্যা’গ করলে মা’মলার গুরুত্বপূর্ণ আ’লামত ন’ষ্ট হওয়ার এবং ত’দন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁ’কি রয়েছে।দুদকের অনুসন্ধান ও মা’মলার এ’জাহার থেকে জানা যায় যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদে প্রায় ৪৮৯ কোটি টাকা বিল গ্রহণ করা হয় যা ছিল প্রচলিত হারের চেয়ে অনেক বেশি।
এর ফলে সরকারের আনুমানিক ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আ’সামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষ’মতার অপব্যবহার করে প্র’তারণার মাধ্যমে এই বিশাল অংকের টাকা আ’ত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযো’গে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দুদক আদালতকে জানিয়েছে যে অভিযুক্তরা গোপনে দেশত্যা’গের চেষ্টা করছেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা এবং ত’দন্তের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই আদেশ দেন যা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Comment