প্রেমিককে ৯ খ’ণ্ড করে হ’ত্যা, প্রেমিকাসহ গ্রে’প্তার ২

সাভারে নি’খোঁজ হওয়া মো. সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ (২৬) নামে এক যুবকের ৯ খ’ণ্ডিত ম’রদেহ উ’দ্ধারের ঘ’টনার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)। চাঞ্চল্যকর এ হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘ’টনায় গ্রে’প্তার হয়েছেন রোকনুজ্জামান পলাশ (২৬) ও তার কথিত স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার তৃষা (২৬)। তারা আ’দালতে ১৬৪ ধা’রায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।নি’হত সবুজ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ৩ এপ্রিল ভোরে তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরিবার বহু চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পায়নি এবং ৪ এপ্রিল সাভার মডেল থা’নায় নি’খোঁজ জিডি করা হয়। একদিন পর কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে দুটি কার্টনে মোড়ানো অজ্ঞাত খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর মরদেহের ছবি দেখে নিহতের পরিবার তার পরিচয় শনাক্ত করে। পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা ত’দন্তকারী দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজের পরিচয় নি’শ্চিত করে এবং হ’ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আ’সামি—রোকনুজ্জামান পলাশ ও সুমাইয়া আক্তার তৃষাকে চিহ্নিত করে। পলাশ তার খালুর বাড়িতে আত্মগোপন করলেও সুমাইয়া ফেনীতে পা’লিয়ে যায়। তাদের ভা’রতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তবে পিবিআইয়ের নজরদারি ও ত’দন্তের মাধ্যমে তাদের পা’লানোর চেষ্টা ব্য’র্থ হয়। সুমাইয়াকে ঢাকার গাবতলী থেকে অনুসরণ করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গ্রে’ফতার করা হয়।

পিবিআই জানায়, সবুজ ও সুমাইয়ার মধ্যে ফেইসবুকে ফেইক আইডি ব্যবহার করে অ’শ্লীল এবং ন’গ্ন ছবি আদান-প্রদান শুরু হয়। এক পর্যায়ে, এই সম্পর্কের দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ হ’ত্যার পরিকল্পনা গড়ে ওঠে এবং হ’ত্যাকা’ণ্ডটি সংঘটিত হয়। গ্রে’প্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ হ;ত্যাকা;ণ্ডের স্থান থেকে সবুজের ব্যবহৃত আইফোন, হ;ত্যায় ব্যবহৃত ছু;রি, একটি কার্টন এবং ম;রদেহ বহনকারী গাড়ি উ;দ্ধার করেছে। এই হ;ত্যাকাণ্ডের ঘ;টনায় এক ভ্যানচালক কামরুলও আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ হ;ত্যাকাণ্ডটি এখনও ত;দন্তাধীন রয়েছে, তবে পিবিআইয়ের ত;দন্ত দল এটিকে একটি ভ;য়াব;হ সামাজিক দ্বন্দ্বের ফল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা অনলাইনে সম্পর্কের সূত্রে খুনের রূপ নিয়েছে।

Visited 54 times, 1 visit(s) today