ই’সরায়েলের বিমানঘাঁ’টিতে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল হা’মলা

ই’সরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নি’ক্ষেপ করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের স’শস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। দেশটির নেভাতিম বি’মানঘাঁ’টিতে এই হা’মলা চালানো হয়েছে। ই’সরায়েলের উন্নত প্র’তির’ক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষে’পণা’স্ত্রটি আ’টকাতে সমর্থ হয়নি বলে দাবি করেছে স’শস্ত্র গোষ্ঠীটি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁ’টিতে একটি ‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে হা’মলা চালিয়েছে হুতিরা। শনিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে স’শস্ত্র গোষ্ঠীটি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এ কথা জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেছেন, ক্ষে’পণাস্ত্র’টি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আ’ঘাত হেনেছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটি প্র’তিহত করতে ব্য’র্থ হয়েছে।

তবে, এর আগে ইসরায়েলি সে’নাবা’হিনী জানিয়েছিল, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষে’পণাস্ত্র ই’সরা’য়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই প্রতিরোধ করেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বেজে উঠেছিল এ সময়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক হা’মলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি প্র’তির’ক্ষা বাহিনী। হামাস নির্মূলের নামে নি’রপ’রাধ গাজাবাসীর ওপর হ’ত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু করে তারা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে লোহত সাগর, আরব সাগর, বাব আল-মানদাব প্রণালি ও এডেন উপসাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হা’মলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। তারা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ই’সরায়েলের হা’মলায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতেই তারা এই আ’ক্রমণ চালাচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হা’রিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, ইসরায়েলি ধ্বং’সয’জ্ঞের শি’কার হয়ে বাস্তুহারা হয়েছেন গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যু’দ্ধবিরতি ঘোষণার পর হুতিরা তাদের হা’মলা ব’ন্ধ রেখেছিল। তবে, সম্প্রতি ইসরায়েল আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করলে হুতিরাও পুনরায় আ’ক্রমণ শুরু করে।